![রৌমারীতে মাদক ব্যবসায়ীকে অর্থের বিনিময়ে সেবনকারী সাজালেন পুলিশ 1 রৌমারীতে মাদক ব্যবসায়ীকে অর্থের বিনিময়ে সেবনকারী সাজালেন পুলিশ জনসংযোগ](http://i0.wp.com/janosongjog.com/wp-content/uploads/2023/12/1703728145665.jpg?resize=720%2C439&ssl=1)
![রৌমারীতে মাদক ব্যবসায়ীকে অর্থের বিনিময়ে সেবনকারী সাজালেন পুলিশ 2 রৌমারীতে মাদক ব্যবসায়ীকে অর্থের বিনিময়ে সেবনকারী সাজালেন পুলিশ জনসংযোগ](http://i0.wp.com/janosongjog.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png?w=708&ssl=1)
রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
টাকার বিনিময়ে বিশিষ্ট মাদক ব্যবাসয়ী মিরাজ উদ্দিন (৬৫) কে সেবনকারী সাজালেন থানাপুলিশ। এমন একটি নজির বিহীন ঘটনার জন্ম দিয়েছেন কুড়িগ্রামের রৌমারী থানা। এ ঘটনায় আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল চার টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার বন্দবেড় ইউনিয়নের চরবন্দবেড় গ্রামের আটক ব্যাক্তির নিজ বাড়ী থেকে গাঁজাসহ তাকে হাতেনাতে আটক করা হয়। এসময় তার নিকট থেকে গাঁজা উদ্ধার করে পুলিশ। আটক মিরাজ চর বন্দবেড় গ্রামের মৃত আবুল হোসেনে ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মিরাজ উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। এনিয়ে একাধিকবার তাকে আটক করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছি এবং তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার বিকেলে নিজ বাড়ী থেকে গাঁজাসহ আটক করে থানায় নিয়ে আসেন পুলিশ। পরে মিরাজের আত্মীয়দের সাথে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে আটককৃত মাদক ব্যবসায়ীকে অসুস্থতা দেখিয়ে রৌমারী হাসপাতালে ভর্তি করেন পুলিশ।
দীর্ঘ চার ঘন্টাপর উপ-পরিদর্শক (এসআই) লিটন মিয়া অর্থ পেয়ে নিয়মিত মামলা না করে নাটক সাজিয়ে রাত আটটার দিকে রৌমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ হাসান খানকে ভুল বুঝিয়ে গাঁজা সেবনকারী হিসেবে আদালতে হাজির করেন তাকে। বিজ্ঞ আদালত সকল বিষয় শুনে গাঁজা সেবন না করার শর্তে ৩শ টাকার নন-জুডিসিয়াল স্টাম্পে মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেন। এ ঘটনায় এলাকায় সুধিমহলের মধ্যে আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
রৌমারী থানার উপ-পরির্দকশ (এসআই) মো. লিটন মিয়া জানান, ৩ পুড়িয়া গাঁজাসহ মিরাজকে হাতেনাতে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। এক পর্যায়ে থানা হাজতে অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাকে চিকিৎসার জন্য বিকেল ৫টার দিকে রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তবে টাকা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি।
এ ব্যাপারে রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহিল জামান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কি পরিমাণ গাঁজাসহ তাকে আটক করা হয়েছে তা আমার জানা নেই। তবে ইউএনও’র নির্দেশে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে এবং মুচলেকা নিয়ে আটক ব্যক্তিকে ছেড়ে দিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদ হাসান খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, পুলিশ আমার নিকট আসামীকে রাত আটটার দিকে হাজির করলে তিনি দোষ স্বীকার (গাঁজা সেবন) করায় এবং তার শারিরিক অবস্থা দেখে মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। তবে তার আগে পুলিশ কি করেছেন তা আমার জানার বিষয় নয়।