আত্মহত্যা ঠেকাতে ৮৭ বছর পর সান ফ্রান্সিসকোর গোল্ডেন গেট ব্রিজে যুক্ত হলো জাল
১৯৩৭ সালে সেতুটি চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। এর পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় দুই হাজার মানুষ সেতুটি থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
জনসংযোগ ডেক্স
আত্মহত্যা ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোর গোল্ডেন গেট ব্রিজের দুই পাশে লোহার তৈরি জাল বসিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
১৯৩৭ সালে সেতুটি চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। এর পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় দুই হাজার মানুষ সেতুটি থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
সেতুটি থেকে যারা লাফিয়ে আত্মহত্যা করেছে, তাদের স্বজনরা কয়েক দশক ধরে আত্মহত্যা ঠেকানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষের কাছে আহ্বান জানিয়ে আসছিলেন।
তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষ ২০১৮ সালে সেতুর দুই পাশে বিশ ফুট চওড়া লোহার জাল বসানোর কাজ শুরু করে। ১.৭ মাইল (২.৭ কিলোমিটার) দীর্ঘ সেতুটির প্রায় ৯৫ শতাংশ জুড়ে জাল লাগানোর কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
গোল্ডেন গেট ব্রিজ হাইওয়ে অ্যান্ড ট্রান্সপোর্টেশন ডিস্ট্রিক্ট এক বিবৃতিতে বলেছে, “এই জাল লাগানোর উদ্দেশ্য হলো ব্রিজ থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যা ঠেকানো। সেতুর দুই পাশে এমনভাবে জাল লাগানো হয়েছে, যাতে কেউ লাফ দিলেও সেই জালে আটকে যায়। এতে আত্মহত্যার হাত থেকে সেই ব্যক্তিকে বাঁচানো সম্ভব হবে।”
আত্মহত্যার উদ্দেশে সেতুটি থেকে লাফ দেওয়ার পরও প্রায় ৪০ জন ব্যক্তি প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন। তাদেরই একজন কেভিন হাইন্স। বেঁচে যাওয়ার পর থেকে তিনি নিজেই আত্মহত্যা প্রতিরোধে কাজ করছেন। অন্যদের সাথে কেভিনও সেতুটিতে জাল লাগানোর পক্ষে প্রচারণা চালিয়েছেন।
গোল্ডেন গেট ব্রিজ হাইওয়ে এবং ট্রান্সপোর্টেশন ডিস্ট্রিক্ট বলেছে যে ইতোমধ্যেই এই জাল কার্যকারিতা দেখা গেছে।
গড়ে প্রতি বছর সেতুটি থেকে লাফিয়ে ৩০টি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটত। কিন্তু সেতুটিতে জাল লাগানোর কাজ শুরুর পর আত্মহত্যার সংখ্যা কমেছে। গত বছর সেতুটি থেকে লাফিয়ে ১৪টি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে।