অনলাইন ডেস্ক
আজ শপথবাক্য পাঠ করেছেন দ্বাদশ জাতীয় সংসদে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা। নির্বাচনে নির্বাচিত সংসদ সদস্য (এমপি) হিসেবে সংসদ ভবনের শপথকক্ষে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী নিজেই নিজের শপথবাক্য পাঠ করেছেন। পরে শিরীন শারমিন শপথপত্রে সই করেন এবং একাদশ জাতীয় সংসদের স্পিকার হিসেবে তিনি নবনির্বাচিত বাকি এমপিদের শপথ পড়ান।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় সংসদ ভবনের শপথ কক্ষে নতুন এমপিদের শপথ অনুষ্ঠানের শুরুতেই নিজের কাছে নিজে শপথ নেন রংপুর-৬ আসন থেকে নির্বাচিত এই জনপ্রতিনিধি।
২০০৯ সালে সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য হিসাবে জাতীয় সংসদে আসেন শিরীন শারমিন। মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে ২০১৩ সালে ৩০ এপ্রিল বাংলাদেশের প্রথম নারী স্পিকার নির্বাচিত হন তিনি। এরপর ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ছেড়ে দেওয়া রংপুর-৬ (পীরগঞ্জ) আসন থেকে উপ-নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে আসেন স্পিকার শিরীন শারমিন।
একাদশ সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনা তার শ্বশুরবাড়ির এলাকা পীরগঞ্জের আসনটি নোয়াখালীর মেয়ে শিরীনকে ছেড়ে দেন। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও এ আসনে শিরীন শারমিনকে প্রার্থী করে আওয়ামী লীগ।
ভোটের আগে পীরগঞ্জে নির্বাচনী জনসভায় শিরীনের পক্ষে ভোট চেয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই যে আমার মেয়েকে আপনাদের দিয়ে গেলাম। নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে তাকে জয়যুক্ত করা মানে আমাকে ভোট দেওয়া, জয়কে (সজীব ওয়াজেদ জয়) ভোট দেওয়া। সে জয়ের বোন, পুতুলের (সায়মা ওয়াজেদ পুতুল) বোন।’
পেশায় আইনজীবী শিরীন শারমিনের জন্ম ১৯৬৬ সালে ৬ অক্টোবর ঢাকায়। তার বাবা রফিকউল্লাহ চৌধুরী ছিলেন স্বাধীনতার পর প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একান্ত সচিব। তার মা অধ্যাপক নাইয়ার সুলতানা বাংলাদেশ কর্ম কমিশনের সদস্য ছিলেন। তার নানা সিকান্দার আলী ছিলেন পূর্ব পাকিস্তান হাই কোর্টের বিচারপতি।
১৯৮৯ সালে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এল এল বি (অনার্স) এবং ১৯৯০ সালে ওই স্থান অটুট রেখেই এলএলএম ডিগ্রি নেন শিরীন শারমিন। ২০০০ সালে এসেক্স ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি করেন।
১৯৯২ সালে বার কাউন্সিলের আইনজীবী হিসাবে তালিকাভুক্ত হন শিরীন। ১৯৯৪ সালে হাই কোর্ট বিভাগ ও ২০০৮ সালে আপিল বিভাগে অন্তর্ভুক্ত হন। সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলো পরিচালনার দায়িত্বে থাকা আইনজীবীদের একজন তিনি।