আবির হোসেন সজল, লালমনিরহাট:
পৌষের শেষ দিনেও উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে বৃষ্টির মত ঝরছে কুয়াশা। গত ৮ তারিখ মঙ্গলবার থেকে সূর্যের আলোর দেখা মিলছে না উত্তরের জেলাগুলোতে।
আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে রোববার (১৪ জানুয়ারি) লালমনিরহাটের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯০ ভাগ। চলতি বছরে এটি জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। জেলার ওপর দিয়ে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। চলতি সপ্তাহে জেলায় স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভবনা আছে।
এদিকে প্রচণ্ড শীতে কাবু হয়ে পড়েছে জনজীবন। বিশেষ করে হতদরিদ্র, খেটে-খাওয়া মানুষেরা পড়ছে চরম বিপাকে। অনেকের মাঝেই জুটছে না, উষ্ণ পোশাক। সকাল- সন্ধ্যায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। শীতের সকালে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।
মোবায়দুল ইসলাম বলেন, প্রায় সপ্তাহ খানেক ধরে সূর্যের আলো দেখা যাচ্ছে না। এই তীব্র শীতে ঘরের বাইরে বের হতে পারছি না। খুব বিপর্যস্ত অবস্থায় দিনাতিপাত করছি।
রিক্সা চালক মমিনুর ইসলাম বলেন, কয়েকদিন ধরে খুব ঠান্ডা। রাস্তায় মানুষের চলাচল কমে গেছে। বাড়িতে বসে থাকলে পেটে খাবার যাবে না। ঠন্ডা হলেও রিকশা নিয়ে বেড়িয়েছি রাস্তায় কিন্তু সকাল থেকে ভাড়া নেই। ভাড়া না হলে খাওয়ার অভাবে রাত কাটাতে হবে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ বলেন, এই প্রচন্ড শীতে জুবুথুবু জনজীবনের দিকে খেয়াল রেখেই জেলার ৫ টি উপজেলায় ২৬ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। আরও ৫০ হাজার কম্বলের লিস্ট পাঠানো হয়েছে। আমরা তৎপর রয়েছি, সাধারণ মানুষের যেকোনো বিপদে পাশি আছি।