দেশ সংযোগ

শিক্ষক সাচ্চু’র বিদ্যালয় যখন কুটুমবাড়ি

 
শিক্ষক সাচ্চু'র বিদ্যালয় যখন কুটুমবাড়ি জনসংযোগ

ইনছান আলী, ঝিনাইদহ

বলা হয়ে থাকে শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড আর সেই মেরুদণ্ডকে শানিত করে একজন গুরু সমতূল্য শিক্ষক।কিন্তু সেই শিক্ষকই যখন মাসের পর মাস বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকে,তখন কি হতে পারে আগামীর শিক্ষা ব্যবস্থা? ঠিক এমনই এক অভিযোগ উঠেছে মহেশপুর উপজেলার পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ভকেশনাল/কারিগরি শিক্ষক কামরুজ্জামান খান সাচ্চু’র বিরুদ্ধে। সরেজমিনে ও অনুসন্ধানে গিয়ে বাস্তব প্রমানও পাওয়া গেছে,গত ১৫দিন বিনা নোটিশে বিদ্যালয়ের বাইরে আছেন লিখিত ছুটি ছাড়াই।প্রভাবশালী সাবেক সংসদ সদস্য(ঝিনাইদহ-৩) শফিকুল ইসলাম খানের বোন জামাই হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে পারে না বা বলে না!আর সাবেক এই সংসদ সদস্যের ক্ষমতাকে ব্যবহার করে বছরের পর বছর বিদ্যালয়ে আসেন না আর আসলেও দুই-তিন ঘন্টার বেশি অবস্থান করেন না বলেও জানা যায়।

এই বিষয়ে আরও কথা হয়,একই বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষকের সাথে (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) তারা এই বিষয়টি নিশ্চিত করে বলে সাচ্চু স্যার দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়ে আসেন না। ঠিকঠাক মত ক্লাসও নেন না। এই অনিয়মের বিরুদ্ধে কেউ কিছু বলেন কিনা সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের উত্তরে,তারা প্রথমে মুখ খুলতে রাজী হয়নি।পরবর্তীতে তারা বলেন,সাবেক সংসদ সদস্যের নিকট আত্মীয় হওয়ায় তার বিরুদ্ধে প্রধান শিক্ষকসহ সবাই কথা বলতে ভয় পায়।মহেশপুর পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সাথে অনিয়মিত শিক্ষক কামরুজ্জামান খান সাচ্চু’র বিষয়ে কথা হলে,প্রাথমিকভাবে বিষয়টি এড়িয়ে যেতে/ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু সাংবাদিক’রা সকল প্রমান ও তথ্য উপাত্ত পেশ করলে এক পর্যায়ে স্বীকার করতে অনেকটা বাধ্য হন।প্রধান শিক্ষক স্বীকার করে বলেন,কামরুজ্জামান খান সাচ্চু দীর্ঘদিন ধরেই নিয়মিত ভাবে বিদ্যালয়ে আসেন না এবং ক্লাসও নেন না।

এই বিষয়ে কথা হয় মহেশপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার দিনেশ পালের সাথে তিনি সাংবাদিকদের জানান, বিষয়টি আমার নলেজে আছে আমার কাছেও বেশ কিছু অভিযোগ এসেছে এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে, আমি ওই স্কুলের সভাপতিকে বিষয়টি নিয়ে নোটিশ করবো তার পরেও যদি তিনি নিয়মিত না হয় তবে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর

 
Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker