ইনছান আলী, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
ঝিনাইদহের অধিকাংশ ইটভাটার নেই কোনো পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র। প্রায় সবগুলো ইটভাটায় পুড়ছে সবুজ গাছের কাঠ। ইটভাটা নীতিমালা প্রকাশ্যে অবমাননা করা হলেও দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন।লাইন লবিং করেই চলছে রমরমা ব্যাবসা। সরেজমিনে উপস্থিত হয়ে ঝিনাইদহ হরিনাকুন্ডু সড়কের দুইপাশের ইটভাটা গুলো ভিজিট করে যানা যায়, আর,এস,বি ইটা ভাটা,এম,এস,বি ইটা ভাটা,এম জে,বি ইটা ভাটা,এ,জে,বি ইটা ভাটা,পি,এস,বি ইটা ভাটা,এম,এন,বি ইটা ভাটা,এম,কে,বি ইট ভাটা
তাদের কারোরই নাই পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র, এছাড়াও প্রতিটা ইটভাটায় মজুদ করা হয়েছে শতো শতো টন সবুজ গাছের কাঠ।
পরিবেশ ধ্বংস করে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই অদৃশ্য ক্ষমতাবলে চলছে এসব অবৈধ ইট ভাটাগুলো।
এবিষয়ে চাদপুর ইউনিয়নের স্কুল শিক্ষক আতিয়ার রহমান জানান,কৃষি জমির মাটি কাটা, আঞ্চলিক সড়ক গুলো নষ্ট,সবুজ বনায়ন ধ্বংস করেই বীরদর্পে চলছে এই সকল অবৈধ ইটভাটার ব্যবসা রমরমা। অথচ এই সকল পরিবেশ ধ্বংসের মুল কারন অবৈধ ইটভাটাগুলোর বিরুদ্ধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনোই ব্যাবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। যদিও বা মাঝেমধ্যে লোক দেখানো জরিমানা করা হয়,কিন্তু জরিমানা দিয়েই যেনো আরো বৈধ ভাবে চলছে এই সকল ইটভাটাগুলো। ঝিনাইদহের সর্বসাধারণ জনগণের দাবি, অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যাবস্থা নেওয়া হোক। প্রকৃত নীতিমালার বাইরে কোনো ভাবেই চৱতে পারেনা এই সকল ইটভাটা গুলো। হরিনাকুন্ডু রোডের ইটভাটার মালিকদের সাথে কথা বলে জানা যায় তারা সব মহলকেই টাকা দিয়ে ম্যানেজ করেই চালিয়ে যাচ্ছে এই সকল অবৈধ ইটভাটা গুলোর কার্যকালাট।
ইটভাটার মালিকরা আরো জানান প্রায় বিভিন্ন সাংবাদিক ও দফতরের লোকজন এসে মাসোহারা নিয়ে যান, যার কারনে বড়ো সাংবাদিকরা কেউই নিউজ করেন না এবং প্রশাসন কোনো ব্যাবস্থা নেন না।
স্থানীয়রা সাংবাদিকদের মাধ্যমে প্রশাসনের উদ্দেশ্য প্রশ্ন করেছেন, প্রকাশ্যে যদি আইন অমান্য করে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই ইট ভাটার রমরমা ব্যবসা করা যায়,তবে কেনো লোক দেখানো আইন বা নীতিমালা আরোপ করা হলে? ঝিনাইদহের অধিকাংশ ইটভাটায় সবুজ গাছেন কাঠ পোড়ানোর বিষয়ে কথা বলতে ঝিনাইদহ পরিবেশ অধিদপ্তরে যেয়ে দ্বায়িত্বরত কর্মকর্তা সহকারী পরিচালক মুন্তাছির রহমানকে পাওয়া যায়নি এছাড়াও তার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলরও তিনি তা রিসিভ করেন নাই।