রাকিবুল হাসান, সাতক্ষীরা শ্যামনগর প্রতিনিধিঃ
১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু সুন্দরবন পরিদর্শনে মায়াবী চিত্রল হরিনের পাল দেখে মুগ্ধ হয়ে বন্যপ্রাণী রক্ষার্থে ১৯৭৪ সালে বন্যপ্রাণী আইন প্রণয়ন করেন। ( যাহা ২০১২ সালে সংশোধিত) হরিন ধরা, হরিন মারা, ফাঁদ পাতা, হরিণের মাংস, হরিণের চামড়া, হরিণের শিং সংরক্ষণ করা, ক্রয় বিক্রয় করা, নিজ দায়িত্বে রাখা শাস্তিযোগ্য দণ্ডনীয় অপরাধ। এক শ্রেণীর হরিণ খেকো প্রভাবশালী ব্যক্তিরা সুন্দর বনের সাধারণ জেলেদের ভয় ভীতি ও প্রলোভন দেখিয়ে হরিণ শিকারে উৎসাহিত করে থাকে । ছদ্দবেশী হরিণ শিকারীরা বন কর্মীদের গতিবিধি লক্ষ করে ফাঁদ পেতে কিম্বা অন্যান্য পন্থায় হরিন শিকার করার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। সুযোগ বুঝে বনকর্মীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে সুন্দর বনে বিস্তৃত হাজারো খাল, নালা দিয়ে জীবিত হরিন এবং মৃত হরিনের মাংস পাচারের চেষ্টা করে থাকে।
ইতিমধ্যে কৈখালী, বুড়িগোয়ালিনী, হরিনগর, কয়রা, নলিয়ান ও সুন্দরবন সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকায় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বনকর্মীদের হাতে আসামিসহ বিপুল পরিমাণের হরিণের মাংস উদ্ধার করা হয়েছে। যাহা প্রশংসনীয়। আবার শ্যামনগর ও কয়রা উপজেলার সংবাদ দাতাদের বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হচ্ছে যে বন বিভাগের ব্যর্থতা ও সহযোগিতায় হরিণ শিকার ও মাংস পাচার হচ্ছে যাহা সত্যিই অশোভনীয় ও লজ্জানীয়।
হরিন জাতীয় সম্পদ ইহা রক্ষণাবেক্ষণ করা আমার আপনার সকলের দায়িত্ব এবং কর্তব্য। বন্যপ্রাণী আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে আসুন বন্যপ্রাণী রক্ষা করি আগামী প্রজন্মের জন্য পতিবেশ গড়ে তুলি।