তৌফিক আল মাহমুদ, নোবিপ্রবি প্রতিনিধি
নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার আওতাধীন একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক কর্মশালা ও সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) একদল তরুণ শিক্ষার্থী ও গবেষক এ কর্মশালা পরিচালনা করেন।
২৪ জানুয়ারী (বুধবার) হাতিয়া উপজেলার আবদুল মোতালেব উচ্চ বিদ্যালয়ে জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত বক্তৃতা, আলোচনা এবং নানা শিক্ষনীয় কার্যকলাপ এর মাধ্যমে ২০০ শিক্ষার্থীদের মাঝে উক্ত কর্মশালা ও সেমিনারটি সফল ভাবে অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক নানান শিক্ষণীয় কার্যকলাপ, নিরাপদ পানি যাচাইকরণ ও নিরীক্ষণ পদ্ধতির ব্যবহার সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয় এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে কুইজ ও পুরষ্কার বিতরণীর মাধ্যমে শেষ হয়।
নোবিপ্রবি সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগ এর ১৩ ব্যাচ এর শিক্ষার্থী ও প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর মো. সাইফুল ইসলাম এর পরিচালনায় এই কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নোবিপ্রবি সমুদ্র বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান নাজমুস সাকিব খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে হাতিয়া ডিগ্রি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক জনাব আব্দুল হাকী উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন আবদুল মোতালেব উচ্চ বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক এ.এন.এম হাসান। ।
উক্ত কর্মশালা ও সেমিনারের প্রতিপাদ্য ছিলো, “Youth Campaign : Climate Change Literacy and Drinking Water Quality Monitoring.” “হেল্প-চাই” গবেষণা প্রকল্পটি “ইয়ুথ ইনোভেশন ফান্ড” ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত হয়, যা আর্থিক ভাবে সহায়তা করেন যৌথভা ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, এ্যাম্বাসি অফ সুইডেন, ঢাকা এবং ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ এন্ড ডেভেলপমেন্ট। এই গবেষণা প্রকল্পের অধিনে তরুন শিক্ষার্থীরা একটি ওয়েব এপ্লিকেশন ডেভেলপ করেন যার মাধ্যমে অতি সহজে খাবার পানির গুনগত মান যাচাই করা যাবে, সেই সাথে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের দুই শতাধিক তরুণ শিক্ষার্থীদেরকে জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে সৃষ্ট পরিবেশ ও জীবন-জীবিকা গত সমস্যার টেকসই সমাধান ও অভিযোজনের জন্য দক্ষ করে গড়ে তোলা।
এ সময় উক্ত কর্মশালা ও সেমিনার আয়োজনকে সাধুবাদ জানিয়ে এ ধরনের শিক্ষনীয় আরো কর্মশালা ও সেমিনার আয়োজনের আশাব্যাক্ত করেন অতিথিরা। প্রধান অতিথির আলোচনায় নোবিপ্রবি সমুদ্র বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান নাজমুস সাকিব খান জলবায়ু পরিবর্তন এবং অভিযোজন সম্পর্কিত বিস্তারিত জানা অজানা বিষয়গুলো শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরেন।
প্রজেক্ট কো-অরর্ডিনেটর মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, “বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তন হয়তো সম্পূর্নভাবে প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়, কিন্তু টেইসই প্রযুক্তি ও পদক্ষেপের মাধ্যমে এই পরিবর্তনের সাথে খাপ-খাইয়ে চলার মতো করে নিজেকে গড়ে তুলতে হবে। ”