রবিউল, ইবি প্রতিনিধি :
মনস্তাত্ত্বিক ও ক্যারিয়ারভিত্তিক দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়তাকারি সংগঠন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় মডেল ইউনাইটেড ন্যাশন (আইইউমুনা) কর্তৃক ‘দ্যা আর্ক অফ ডিপ্লোমেট’ এর উপর দুইদিব্যাপী কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০.০০ টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে প্রথম দিনের সম্মেলন শুরু হয়ে পরদিন ২রা ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৭.০০ টার দিকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ সম্মেলন শেষ হয়।
বিষয়ভিত্তিক এই কনফারেন্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনটির সাবেক সভাপতি এমডি রাসেল মুরাদ, আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো: শাহজাহান মন্ডল এবং একই বিভাগের অধ্যাপক ড. রেবা মন্ডল, ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মিয়া মো: রাসিদুজ্জামান, আল-ফিকহ এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো: আমজাদ হোসেন, চারুকলা বিভাগের প্রভাষক তানিয়া আফরোজ সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ।
জাতিসংঘের ছায়া হিসেবে পরিচিত এই সংগঠন এর ‘দ্যা আর্ক অফ ডিপ্লোমেটে’ অংশ নিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, যবিপ্রবি, বশেমুরবিপ্রবি, বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, রবিন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়, ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, ডেপোডিল ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। এছাড়াও যুক্ত ছিল কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ এর তিনটি স্কুল।
এ সময় বক্তব্যে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমান সাইমান বলেন, আমরা তৃতীয়বারের মতো ইসলামিক ইউনিভার্সিটি মডেল ইউনাইটেড ন্যাশন এসোসিয়েশন এর পক্ষ থেকে ১১ টি ইউনিভার্সিটি এবং ৩ টি স্কুলকে নিয়ে এই আয়োজন এর হোস্ট করতে পেরে আমরা আনন্দিত। আশাকরি আমাদের পরবর্তী প্লানে একটি ন্যাশনাল কনফারেন্স করবো যেখানে ৩০ থেকে ৪০ টি ইউনিভার্সিটিকে ইনক্লুড করার চেষ্টা করবো। এরই মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম বৃদ্ধি করতে পারবো ইনশা-আল্লাহ।
সভাপতি নাহিদ হাসান বলেন “ইসলামিক ইউনিভার্সিটি মডেল ইউনাইটেড ন্যাশন এসোসিয়েশন শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধি করার জন্য বছরে বিভিন্ন সময়ে কিছু প্রোগ্রাম শুরু করে থাকে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা দ্যা আর্ক অফ ডিপ্লোমেটস নামে একটা প্রোগ্রাম শুরু করেছিলাম। একই সাথে শিক্ষার্থীরা গবেষণা, ডকুমেন্টেশন রাইটিং, ইংলিশ স্পিকিং সহ ইন্টার ন্যাশনাল এফেয়ার্স চর্চা করতে পারে। টানা দুইদিন কনফারেন্স করার পর শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করার জন্য অ্যাওয়ার্ডস দিয়েছি। আমাদের এই কনফারেন্স আগেকার করা দুইটি কনফারেন্সকেও ছাড়িয়ে গিয়েছে।
আশাকরি, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দিন দিন উত্তরোত্তর নিজেদের প্রোডাক্টিভ ও ডেভেলপমেন্ট করবে এবং বিশ্ব পর্যায়ে ভূমিকা পালন করবে।”