মোঃ রয়িসুল সরকার রোমন
স্টাফ রিপোর্টার:
লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার দশম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের মামলা থেকে বাঁচতে ইসরাউল হক রানা (২৪) আত্মগোপনে চলে যান। এ সময় কক্সবাজারের পেকুয়া এলাকায় গিয়ে ছদ্মবেশে গরুর খামারে কাজ নেন। অবশেষে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে।
শুক্রবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাতে কক্সবাজারের পেকুয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর শনিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাকে লালমনিরহাট জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদিতমারী থানার ওসি (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, দশম শ্রেণির এক ছাত্রী বিদ্যালয়ে যাওয়ার সময় প্রতিদিনই তাকে বিরক্ত করত রানা। এক পর্যায়ে ওই ছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের প্রলোভনে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন তিনি। এতে ওই স্কুল ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে রানাকে বিয়ের জন্য চাপ দেন। কিন্তু রানা বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আত্মগোপন চলে যান। গত ২১ জানুয়ারি লালমনিরহাটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ওই স্কুল ছাত্রী একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেয়। এরপর ওই ছাত্রী বাদী হয়ে আদিতমারী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে রানার নামে মামলা দায়ের করেন।
ওসি জানান, রানা কক্সবাজারের পেকুয়া এলাকায় কাজল নামের এক খামারির বাড়িতে ছদ্মবেশে গরুর খামারে কাজ করতেন। এমন খবরের সূত্র ধরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ওসি (তদন্ত) রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে রানাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আদিতমারী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ উন নবী বলেন, আসামিকে রোববার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হবে।