রবিউল, ইবি প্রতিনিধি:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ‘বায়োটেক এসোসিয়েশন’ কর্তৃক দু’দিনের পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছেন। এতে শিক্ষার্থীদের মনের অনুভূতি প্রিয় মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে বায়োটেক এসোসিয়েশন। পিঠাপুলির পাশাপাশি পোস্টমাস্টার চরিত্রে প্রিয় মানুষের কাছে চিঠি পাঠানোটাই আকৃষ্ট করছে শিক্ষার্থীদের।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১০ টার দিকে ক্যাম্পাসের আড্ডাস্থল বটতলায় বর্তমান অধ্যায়নরত ৬ টি ব্যাচের সমন্বিত সংগঠন ‘বায়োটেক এসোসিয়েশন’ এর ফান্ড থেকে এই পিঠা উৎসবের আয়োজন করেন শিক্ষার্থীরা। এটি আগামী ৭ তারিখ পর্যন্ত চলমান থাকবে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ২০১৭-১৮ থেকে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের ৬টি ব্যাচের স্বতন্ত্র ৬টি পিঠাপুলির স্টল “ছাও মাও পিঠা খাও”, “বায়ো মিঠাই”, “পুঠেপুলির মঞ্জুরি”, “শীতরসনা”, “পৌষালি মিঠাই” ও “টোনাটুনি পিঠাঘর” দেখা যায়। তন্মধ্যে পুলি, সুজি, পাকন, দুধ চিতই, ফুল, পাস্তা, পায়েস, পুডিং বরফি, বিস্কুট, চন্দ্রপুলি, নকশী, কুনাফা, হৃদয় হরণ পিঠা, সিঙ্গেল পিঠা, ব্রেকআপ পিঠা, জমশীর, পত্ররন্ধ্র, মালাই রুল, ছৈ মালাই, ডিমের মাহিদানা, পাটিসাপটা, চিকেন শর্মা, চিকেন পুলি ও হরেক রকম পুডিং ইত্যাদি পিঠা পায়েস ছিল বিভিন্ন স্টলে।
২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আবদুল মোমেন অনুভূতি প্রকাশ করে গিয়ে বলেন, রকমারি পিঠার সমাহারে ইবি ক্যাম্পাস মুগ্ধ করছে বায়োটেক। পৌষালি মিঠাই, টুনটুনি পিঠাঘর বিচিত্রসব নামে সেজেছে স্টলগুলো। শিরোনাম গুলো ও চমৎকার, প্রিয়জন এর মাথা না খেয়ে পিঠা খান। পিঠা খেতে এসে চক্ষু কপালে উঠেছে অনেকের। সিঙ্গেল পিঠা, ব্রেকআপ পিঠা, হৃদয়হরণ থেকে শুরু করে পত্ররন্ধ্র পিঠা অবধিও বিচিত্র সব নামের পিঠা নিয়ে বসেছে শাড়িপড়া ঝাকঝাক তরুণীরা। সেই সাথে পৌঁছে দিচ্ছে প্রিয়জনের মনের কথাও।
বায়োটেক এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি তানভির আহমেদ বলেন, আমরা ডিপার্টমেন্টের শিক্ষক শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে এই এসোসিয়েশনটা গত নছর এপ্রিল মাসে গঠন করছি। মূলত শিক্ষার্থীদের একাডেমিক চাপ থেকে পরিত্রাণ সূলভ আমরা বিভিন্ন খেলাধুলা, অনুষ্ঠান কিংবা টেকনিক্যাল ইস্যু নিয়ে আমেজের মাধ্যমে মানসিক বিকাশ ঘটানোর লক্ষ্যে এই এসোসিয়েশন। অনেক সময় পড়াশোনায় একঘেয়ে চলে আসে। এখান থেকে তাদেরকে মানসিক উন্নতির প্রয়াস। তাছাড়া চলমান ব্যাচগুলোর সাথে পারস্পরিক সম্পর্ক বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই আয়োজনগুলো করে থাকি।