![ইবিতে ঠাকুরগাঁও জেলাকল্যাণ সমিতির নবীন বরণ ও প্রবীণ বিদায় 1 ইবিতে ঠাকুরগাঁও জেলাকল্যাণ সমিতির নবীন বরণ ও প্রবীণ বিদায় জনসংযোগ](http://i0.wp.com/janosongjog.com/wp-content/uploads/2024/02/1707566279230.jpg?resize=780%2C439&ssl=1)
![ইবিতে ঠাকুরগাঁও জেলাকল্যাণ সমিতির নবীন বরণ ও প্রবীণ বিদায় 2 ইবিতে ঠাকুরগাঁও জেলাকল্যাণ সমিতির নবীন বরণ ও প্রবীণ বিদায় জনসংযোগ](http://i0.wp.com/janosongjog.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png?w=708&ssl=1)
রবিউল আলম, ইবি:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ঠাকুরগাঁও থেকে আগত শিক্ষার্থীদের জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির নবীন বরণ ও প্রবীণ বিদায় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় অতিথিদের ক্রেস্ট প্রদান, বিদায়ী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা এবং ২০২১-২২ ও ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের নবীন কৃতী শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেওয়া হয়।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা ২ টার দিকে ক্যাম্পাসের মফিজ লেকে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানটির উপস্থাপনায় ছিলেন অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী সিফাত জাহান আইভি।
কপিল দেব রায়ের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি, ঠাকুরগাঁও জেলার উপদেষ্টা, শাপলা ফোরামের সভাপতি ইনফরমেশন এন্ড কমিনিউকেশন টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মণ, বিশেষ অতিথি পরিসংখ্যান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো: তৌহিদুর রহমান, স্পেস জিরো লিমিটেড এর ডিজিএম মো: সেলিম চৌধুরী, ঠাকুরগাঁও জেলার সাবেক সভাপতি ফাহিম ফয়সাল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আবুনূর হাসান নাহিব সহ সংগঠনটির শতাধিক শিক্ষার্থী।
এসময় পরিসংখ্যান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো তৌহিদুর রহমান বলেন, ক্যাম্পাসে তোমরা নবীন যেহেতু চলাফেরা কিংবা পড়াশোনা সম্পর্কিত অসুবিধা হতপ পারে, সুতরাং এরকম জেলা কল্যাণের সাথে সম্পর্ক রাখবা আর বিদায়ী শিক্ষার্থীদের একাডেমিক লাইফ শেষ, চাকরি বাজারের জন্য নিজেকে প্রস্তুত হও।
শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করতে তিনি আরও বলেন, এখানে তোমরা যারা আছো অবশ্যই ঠাকুরগাঁও জেলার শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে শিক্ষক হয়ে সহকর্মী হিসেবে উপহার দিবা তো?
ডিজিএম মো: সেলিম চৌধুরী তাঁর বক্তব্যে তিনি বলেন, ক্যাম্পাসের প্রথম ব্যাচ ছিল আমার, অনেক স্মৃতি জড়িত। তোমরা এখানে যারা আছো- পরিপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয় পেয়েছো। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা আগ্রহী করে তোলার দায়িত্ব আপনাদের। পাবলিক তো পাবলিক। পাবলিক ক্যাম্পাসে ঘুরাফেরা করলেও যতটুকু অর্জন করতে পারবে প্রাইভেটে সেইটুকু অর্জন করতে পারবে না। কেউ কাউকে জায়গা করে দিবে না বরং জায়গা তৈরি করে নিতে হবে।
প্রধান অতিথি অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মণ বলেন, আমাদের জীবনটা আসলেই সংগ্রাম। আমাদের যুদ্ধটা নিজের মধ্যে- আমি কোনটা বেচে মিব? আমরা কেন যেন নোটবুক গাইডবুকের গণ্ডিতে আছি।
আমরা এই জায়গায় আসছি অনেক নোংরা পরিবেশ থেকে পড়াশোনা করে আসা হয়েছে কিন্তু তোমরা আজকে সুন্দর পরিবেশ পেয়েছো। আর প্রবীণদেরমনে একটা আফসোস থাকছে – কী করলাম চার-পাচঁটা বছর? এই আফসোস যেন নবীনদের না থাকে সেই পথে হাঁটো। কয়েকটা ইতিবাচক ও নেতিবাচক শত্রুর সাথে ফাইট করা লাগবে। যেমন দ্বৈত আচরণ পরিহার করা, তাহলে মানুষ বুঝে নিবে তোমার একটা স্বতন্ত্র পরিচয় আছে।