![শিক্ষার্থীদের ১১ দফা দাবিতে অবরুদ্ধ নোবিপ্রবি 1 শিক্ষার্থীদের ১১ দফা দাবিতে অবরুদ্ধ নোবিপ্রবি জনসংযোগ](http://i0.wp.com/janosongjog.com/wp-content/uploads/2024/02/1707705450139.jpg?resize=640%2C439&ssl=1)
![শিক্ষার্থীদের ১১ দফা দাবিতে অবরুদ্ধ নোবিপ্রবি 2 শিক্ষার্থীদের ১১ দফা দাবিতে অবরুদ্ধ নোবিপ্রবি জনসংযোগ](http://i0.wp.com/janosongjog.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png?w=708&ssl=1)
তৌফিক আল মাহমুদ, নোবিপ্রবি প্রতিনিধি
নিরাপদ পরিবহন, ক্লাসরুম সংকট নিরসন এবং মার্ক টেম্পারিং রোধসহ মোট ১১ দফা দাবি আদায়ে আন্দোলন শুরু করেছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। রবিবার (১১ ফেব্রুয়াীর) বেলা ১২টা থেকে এই আন্দোলন শুরু হয়।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, এর পূর্বেও তারা অনেকবার তাদের দাবি প্রশাসনের নিকট উত্থাপিত করলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তা আমলে নেয়নি। শুধু আশ্বাসে এখন আর সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিশ্বাসী নয়। তারা সমস্যার সমাধান এবং ১১ দফা দাবির বাস্তবায়ন চায় এ ব্যাপারে তারা বদ্ধ পরিকর এবং দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা অনড় অবস্থানে থাকবে।
এসময় আন্দোলনস্থলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যরা আসেন এবং সুনির্দিষ্ট কোন সমাধান না দেওয়ায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। পরবর্তীতে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে তালা দেয় এবং দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি গ্রহণ করে।
বিকাল ৪টায় প্রধান ফটক খুলে দিলেও দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে জানান শিক্ষার্থীরা এবং ১২ ফেব্রুয়ারী দুপুর ১২টা পর্যন্ত আলটিমেটাম দিয়ে আজকের মত আন্দোলন শেষ করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের উত্থাপিত এগারো দফা দাবি সমূহ-
১. নিরাপদ পরিবহন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় শিক্ষক-কর্মকর্তাবৃন্দ ডাবল ডেকার বাসে যাতায়াত করবেন এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের মিনি বাস ব্যবহারের সুযোগ দিতে হবে।
২. আগামীতে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সকল নিয়োগের ক্ষেত্রে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে হবে এবং কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য সিজিপিএ শিথিল করতে হবে।
৩. নিরাপদ খাবারের ব্যবস্থার পাশাপাশি খাবারের দামের সাথে মানের সমন্বয় করতে হবে। অন্যথায় টিচার্স ক্যান্টিনে শিক্ষার্থীদের খাবারের ব্যবস্থা করে দিতে হবে।
৪. প্রতিটি আবাসিক হল এবং কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ায় খাদ্যে ভর্তুকি দিতে হবে এবং ক্যাফেটেরিয়ার আধুনিকায়ন করতে হবে।
৫. সিজিপিএ ২.৭৫ পর্যন্ত মানোন্নয়ন পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ দিতে হবে। যে কোন সময় ব্যাকলগ এবং মানোন্নয়ন পরীক্ষায় অংশগ্রহণের ব্যবস্থা করতে হবে।
৬. মার্ক টেম্পারিং রোধে পরীক্ষার উত্তরপত্র থেকে অতিশীঘ্রই আইডি নম্বর তুলে দেয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৭. ক্লাসরুম সংকট নিরসন না করে কেন নতুন নতুন বিভাগ চালু করা হচ্ছে তার জবাব দিতে হবে। এবং ক্লাসরুম সংকট নিরসনে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
৮. আধুনিক সুবিধা সম্বলিত জিমনেশিয়াম এবং দৃষ্টিনন্দন মুক্তমঞ্চ স্থাপন করতে হবে।
৯. বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে পুরো ক্যাম্পাসকে ধীরগতির ইন্টারনেট সুবিধা পরিহার করে দ্রুতগতির ইন্টারনেটের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।
১০. বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগতদের অবাধ প্রবেশে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের যথাযথ নিরাপত্তা প্রদান করতে হবে।
১১. প্রশাসন কর্তৃক মোরাল পুলিশিং বন্ধ করতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের স্বাধীনভাবে চলাচলের সুযোগ দিতে হবে।