ক্যম্পাস

ইবির শিক্ষকের অধ্যাপক থেকে প্রভাষকে পদাবনতি; মানববন্ধন 

 
ইবির শিক্ষকের অধ্যাপক থেকে প্রভাষকে পদাবনতি; মানববন্ধন  জনসংযোগ

ইবি প্রতিনিধি : 

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ বোর্ডকে কেন্দ্র করে বিভাগের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. মো: বখতিয়ার হোসেনকে নিয়ম বর্হিভূতভাবে পদাবনতি করায় সঠিক তদন্ত ও সুষ্ঠু বিচার দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নওগাঁ জেলা ছাত্র কল্যাণ সমিতির শিক্ষার্থীরা।

রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) অসংগতির বিষয়টির প্রতিবাদ জানিয়ে দুপুর ২ টার দিকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে নওগাঁ জেলা ছাত্র কল্যাণ সমিতির ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

‘প্রশাসনের পক্ষপাত, নিপাত যাক’, ‘অপশক্তির হাতে সততা বন্দি’, প্রশাসনের ‘সিদ্ধান্ত মানি না মানব না’, ‘আমার শিক্ষক লাঞ্ছিত কেন, প্রশাসনের জবাব চাই’, ‘We stand for Bakhtiar Sir’, ‘গবেষকের সাথে এ কেমন আচরণ’, ইত্যাদি প্ল্যাকার্ড হাতে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন।

মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী এক শিক্ষার্থী বলেন, যেসকল ব্যাক্তিবর্গ ও প্রশাসনের দায়িত্বে বসে আছেন, তাদেরকে আমি একটা কথা বলব, কোনো ব্যক্তির স্বার্থে প্রতিষ্ঠানের দুর্নাম না হোক। দিন শেষে এই প্রতিষ্ঠানের মান বজায় রেখে চলতে হবে। যদি ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রশাসন সঠিক তদন্ত না করে এবং সুষ্ঠু বিচার না করে তাহলে ৭২ ঘন্টার পরে অন্য কোনো সিন্ধান্ত নিতে বাধ্য হব। 

এদিকে একই দিনে ইবি বঙ্গবন্ধু পরিষদ শিক্ষক ইউনিটের সভাপতি অধ্যাপক ড. কাজী আখতার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার যৌথ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে অসংগতির প্রতিবাদ জানানো হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ বোর্ড অনুষ্ঠিত হয়। বিভাগের সভাপতি হিসেবে অধ্যাপক ড. মোঃ বখতিয়ার হোসেন উক্ত নিয়োগ বোর্ডের একজন সদস্য ছিলেন। যেকোন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নিয়োগ বোর্ডের সদস্যদের মধ্যে মতপার্থক্য কিংবা মতভিন্নতা থাকতেই পারে। সেই মতভিন্নতার কারণে গত ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ২৬২তম সিন্ডিকেটে ড. মোঃ বখতিয়ার হোসেন-কে পদ অবনমন করায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু পরিষদ শিক্ষক ইউনিট তীব্র ক্ষোভ ও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু পরিষদ শিক্ষক ইউনিট মনে করে এধরনের কর্মকান্ডের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সকল বিভাগের সভাপতির কণ্ঠরোধ করে স্বৈরাতান্ত্রিক শাসন কায়েমের মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় একচ্ছিত্র আধিপত্য বিস্তারের সুদূর প্রসারী পরিকল্পনা করছেন। যে ধারায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বঙ্গবন্ধু পরিষদ শিক্ষক ইউনিটের একজন সম্মানিত সদস্যকে শাস্তি প্রদান করেছে সেটি আইনের শাসনের পরিপন্থী এবং ব্যক্তি প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ মাত্র। আমরা অনতিবিলম্বে এধরণের বিধি বর্হিভূত সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জোরালো দাবি জানাচ্ছি অন্যথায় যেকোন পরিস্থিতির জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দায়ি থাকবে।

জানা যায়, শিক্ষকের অশুভ আচরণের কারণে গত ১২ ফেব্রুয়ারি ২৬২ তম সিন্ডিকেটে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর

 
Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker