রবিউল, ইবি প্রতিনিধি:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) চলমান বইমেলায় বই বিক্রির পাশাপাশি তারুণ্যের উদ্যোগে ফ্রিতে রক্তদান, দর্শনার্থীদের জন্য হাওয়ায় মিঠা, ক্যাপসার্ট মোমেন্ট সহ বৈচিত্র্যময় আমেজে মুখরিত বইমেলা উৎসব। তবে পাঠক ও দর্শনার্থীদের জন্য ‘ইবি সাহিত্য সংসদ’ কর্তৃক আয়োজিত অনুভূতির দেয়াল সাড়া ফেলেছে তরুণদের মনে। অনুভূতি লিখে আকর্ষণী পুরস্কার জিতে নেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে সংগঠনটি।
তিনদিনের বইমেলায় ১৫ নং পুঁথি পল্লব নামক স্টলে অনুভূতি প্রকাশের দেয়ালিকা টাঙিয়ে উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি শেষ হতে যাচ্ছে লেখনীর সময়সীমা।
এ ব্যপারে অনুভূতি প্রকাশ করতে আসা এক শিক্ষার্থী জানান, আসলে তাঁকে মেসেঞ্জারে পাচ্ছি না, নিজের অনুভূতি উন্মুক্ত করতে চাচ্ছিলাম না, পরিস্থিতি বাধ্য করলো। পুরস্কৃত করবে এমনটা আশা ছিল না। নিজের অনুভূতি কখনও বিনিময়যোগ্য হতে পারে না।
আরেক শিক্ষার্থী জানান, নির্দিষ্ট কোনে প্রিয়তমা নেই। এখানে যেহেতু তরুণরা আসতেছে, আমি না হয় ভালো একটা উপদেশ লিখে চলে যায়, অন্তত দৃষ্টিগোচর হবে। আমার এটাই উদ্দেশ্য।
ইবি সাহিত্য সংসদের সভাপতি ও দেয়ালিকার আয়োজক পলাশ হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে রয়েছে অনেক হতাশা ও একাকীত্ববোধ। অনেকে আছে পুরো বিশ্ববিদ্যালয় জীবন অদ্ভুতভাবে বন্ধুহীন কাটিয়ে দেয়। আমরা অনুভূতির দেয়ালে জীবনের না বলা কথা ও বইমেলার সুন্দর কোনো মুহূর্তের বা বইমেলা নিয়ে ভবিষ্যৎ ভাবনার অনুভূতি জানতে আগ্রহী। শব্দচয়ন ও অনুভূতি প্রকাশের ব্যঞ্জনার উপর নির্ভর করে সেরা একটি অনুভূতিকে আমরা নির্বাচিত করে পুরস্কার দেওয়ার ব্যবস্থা রেখেছি।
তিনি আরও বলেন, আমরা মেলার তিনদিনে তিনজনকে পুরস্কৃত করবো। যেহেতু বইমেলা সেহেতু আমরা পুরস্কার হিসেবে বই দিব। মূল্যায়ন আমরা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সাহিত্য সংসদ এর কার্যনির্বাহী সদস্যরা করবো। অনেকের অনুভূতিই আমাদের হৃদয় ছুঁয়ে যাবে সেগুলো আমাদের ইবি সাহিত্য সংসদ পেজ থেকে সবার সাথে শেয়ার করবো। ক্যাম্পাসের বইমেলা মানেই একটা আনন্দের আমেজ। তরুণদের বইয়ের প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধিতে এই কাজগুলো করতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত।