রূপগঞ্জ নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের রূপগঞ্জে ভুলতা-গাউছিয়া এলাকায় কাঁচাবাজার- ফুটপাত উচ্ছেদে এলাকাবাসীর মনে স্বস্তি ফিরলেও কিছু স্থাপনা উচ্ছেদ না করায় জনমনে অভিযোগ উঠেছে স্বজনপ্রীতির।
৩ ফেব্রুয়ারী শনিবার মহাসড়কের যানজট নিরসন ও এলাকার শৃঙ্খলা রক্ষায় উপজেলা প্রশাসনের এই উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছেন। এসময় সহস্রাধিক দোকানপাট উচ্ছেদ করেন প্রশাসন। অভিযান শেষে সড়ক ও জনপথের উপর কিছু কিছু স্থাপনা দৃশ্যমান থাকায় এলাকাবাসীর মধ্যে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠে।
অভিযানের পর ফুটপাত নিয়ে মার্কেট ব্যবসায়ী ও সাধারন মানুষের মধ্যে আলোচা ও সমালোচনা। ফুটপাত ও মহাসড়কের কাঁচাবাজার উচ্ছেদের পর অনেকে বলেন এলাকার সৌন্দর্য ফিরে আসছে কিন্তু এ সৌন্দর্য কত দিন থাকবে এটাও দেখার ব্যাপার। চাঁদাবাজরা অনেক প্রভাবশালী, তারা আবারো প্রশাসনকে ম্যানেজ করে মহাসড়কে ফুটপাত বসাবে। মহাসড়েকে এবার আর ফুটপাত বসাতে পারবে না এমন মন্তব্য অনেকের।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় এবার সর্বমহল সাথে নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উদ্যোগে নিয়ে অভিযান চালিয়েছে।
জানা যায় উপজেলা পরিষদ, ভুলতা গাউছিয়া এলাকার ব্যবসায়ী মহল ও ফুটপাতের হকার নেতা ঐ এলাকার জনপ্রতিনিধিদের সাথে নিয়ে এক যৌথ আলোচনা করেন উপজেলা প্রশাসন।
এর পরই মহাসড়কের ফুটপাত উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছেন।উচ্ছেদের পর মহাসড়ক ও ফুটপাতের দৃশ্য দেখে পথচারী ও এলাকাবাসী সন্তোষ প্রকাশ করে এবং সব সময়ই মহাসড়কের এরকম দৃশ্য দেখতে চায়।
আওয়ামী লীগ নেতা সাত্তার চৌধুরী বলেন ফুটপাত ভেঙেছে মহাসড়ক ক্লিয়ার করছে সুন্দর হইছে এটা সঠিক কাজ করছে কিন্তু যে সকল স্থাপনা ভাঙ্গা হয়নি এটা কি তাহলে বিশেষ কোন গোষ্ঠীর প্রভাবের কারণে। আমার তো মনে হয় এটা স্বজনপ্রীতি করা হয়েছে অনতিবিলম্বে এ সকল স্থাপনা গুলো ভেঙ্গে দেয়া হোক।
এলাকার সচেতন মহল মনে করেন ভুলতা ফ্লাইওভার এলাকায় সৌন্দর্য স্থায়ী রাখতে ফ্লাইওভারের নিচের ডিভাইডারগুলোর রেলিং দিয়ে আটকাতে হবে।
ডিভাইডারে রেলিং না থাকায় ফ্লাইওভারের গোড়ায় যত্রতত্র মল-মূত্র ও প্রসাব করে আসছে পথচারীসহ ফুটপাত ব্যবসায়ীরা। ডিভাইডারে মধ্যে জমানো মল-মুত্রের দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে এলাকার পরিবেশ দূষণ হচ্ছে। এতে করে পথচারীরা অতিষ্ঠ। এই এলাকায় ডিভাইডার ও গোলাকান্দাইল গোল চত্বরে রেলিং হলে ফুটপাতের ভিতর কোন হকার বসতে পারবে না এতে করে এলাকার পরিবেশ ঠিক থাকবে।