মটুকপুর ২ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর নির্মাণে স্থানীয় প্রভাবশালীদের বাঁধা
মোঃ সামিউল আলম সায়মন, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ
নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার মটুকপুর ২নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি দখল করে কৃষি জমিতে পানি দেয়ার ড্রেন নির্মাণ করেছে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি।
স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় স্কুলের জন্য প্রাচীর বরাদ্দ আসলেও স্কুল কর্তৃপক্ষ কোন ভাবেই স্কুলের সীমানা প্রাচীর নির্মান করতে পারছে না। এ ঘটনায় ডোমার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসারসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে অভিযোগ করলেও কোন প্রতিকার মিলছে না। ফলে বিপাকে পড়েছে ওই সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আলমগীর হোসেন ও সভাপতি মোছাঃ ময়না আক্তার সহ অবিভাবক বৃন্দ।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ আলমগীর হোসেন ও সভাপতি মোছাঃ ময়না আক্তার সহ অনান্য শিক্ষকরা জানান, ডোমার উপজেলার মটুকপুর ইউনিয়নে ১৯১৪ সালে গড়ে উঠে মটুকপুর ২নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। স্কুলটি রাস্তার ধারে নির্মাণ হওয়ায় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য সীমানা প্রচীরের কাজ শুরু করতে প্রস্তুতি নেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ কিন্তু স্থানীয় কিছু প্রভাবশালীদের বাধার মুখে সীমানা প্রাচীর দিতে পারছেনা স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটি। স্কুলের মাঠের কিছু জায়গা দখল করে বাড়ী গড়ে তুলেছেন ওই প্রভাবশালী ব্যক্তিগণ।
প্রভাব খাটিয়ে স্কুলের জায়গা দখল করে জমিতে সেচ দেওয়ার জন্য স্কুলের বারান্দার সামনে দিয়ে নির্মাণ করেছেন ড্রেন। এবং স্কুল চলাকালীন সময়ে তাদের পালিত গরু স্কুল মাঠে বেঁধে রাখে ঘাস খাওয়ার জন্য এতে শিক্ষার পরিবেশ ব্যাহত হয়।
প্রধান শিক্ষক স্কুলের জমি রক্ষা ও সীমানা প্রাচীরের জন্য উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহি অফিসার এখনো বিষয়টি নিয়ে কোন সুরাহ করতে পারেনি।
যখনি কোন সরকারি কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সরেজমিনে যান, তখনি তারা তাদের নিজেদের কিছু লোকজনদের নিয়ে প্রভাব খাটিয়ে স্কুলের সীমানা প্রাচীরের কাজ বন্ধ করে দেন। ফলে অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও স্কুল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে চরম উদবিগ্ন।
ডোমার উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জানান মটুকপুর ২ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গত অর্থ বছরে সীমানা প্রাচীর বরাদ্দ হয় এবং সেটার ওয়ার্ক অর্ডার হয় কিন্তু স্থানীয় কিছু লোকজন কাজে বাধা সৃষ্টি করায় নির্মাণ কাজ শুরু করতে পারেনি প্রধান শিক্ষক বিষয়টি আমাকে জানান বিষয়টি জানার পরে আমি ইউএনও মহোদয়ের পরামর্শে সরজমিনে গিয়ে বিষয়টি সত্যতা পাই এবং ইউএনও মহোদয়কে বিষয়টি জানাই তিনি স্থানীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করার জন্য আমাকে আশ্বাস দেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত জমি বুঝে না পাওয়ায় এখনো সীমানা প্রাচীর নির্মাণের কাজটি শুরু করা যায়নি।
এই বিষয়ে ডোমর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুল আলম, বিপিএএ জানান তিনি লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন, এবং স্থানীয় চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দেন বিষয়টি সমাধানের জন্য কিন্তু বিষয়টি এখন পর্যন্ত সমাধান না হওয়ায় দখলদারদের সাত দিনের মধ্যে অবৈধভাবে দখলকৃত জায়গা ছেড়ে দিয়ে সীমানা প্রাচীর নির্মাণে বাধা না দেওয়ার জন্য মৌখিকভাবে সতর্ক করেছেন। সাত দিনের মধ্যে যদি অবৈধ দখলকৃত জায়গা ছেড়ে না দেওয়া হয় তাহলে অবৈধ দখলবাজদের বিরুদ্ধে আইনানুক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এলাকাবাসী ও অভিভাবকরা অবিলম্বে স্কুলের জমি উদ্ধারসহ সীমানা প্রাচীর দিতে পারেন সে জন্য স্থানীয় সাংসদ , শিক্ষামন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।