আজ ৩ মার্চ (রবিবার) বিকেল ৩ টায় স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে এ আয়োজন করেন ইংরেজি বিভাগ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বেইলী রোডের অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারানোদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনায় এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
এসময় নবাগত শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার নিয়ে দিক-নির্দেশনা দেন আমন্ত্রিত অতিথিরা।
৮২তম আবর্তনের শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেয় ইংরেজি বিভাগের প্রধান শেখ নাহিদ নিয়াজি, কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডীন প্রফেসর আব্দুল মান্নান ও রেজিস্ট্রার জনাব মোহাম্মদ আব্দুল মতিন সহ ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক মন্ডলী এবং বিভাগের অন্যান্য আবর্তনের শিক্ষার্থীবৃন্দ।
এসময় ইংরেজি বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ শিক্ষার্থীদের মেধা ও মননের বিকাশ এবং মানবিকগুনাবলী সম্পন্ন মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠার ব্যাপারে আলোকপাত করেন। শিক্ষকদের মুল্যবান কথামালার মাঝে কখনো বাংলা গান কখনো কবিতা।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে মঞ্চে চলতে থাকা রাইসার কন্ঠে কবি ওয়ার্ডসওয়ার্থ-র ‘Solitary Reaper’ আর দেবপ্রিয়ার কন্ঠে রবীন্দ্র সংগীত ‘ও যে মানে না মানা’র যুগলবন্দী মাধ্যমে ফুল দিয়ে নতুন শিক্ষার্থীদের বরন করে নেয় বিভাগের জেষ্ঠ্য শিক্ষার্থীরা। তার সাথে নতুনের আগমনী বার্তা হিসেবে যুক্ত হয় সদ্যপ্রয়াত ভবানীপ্রসাদ মজুমদারের ‘বাংলাটা ঠিক আসে না’ আবৃত্তি।
আয়োজনে স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাস জীবনের অভিজ্ঞতা নিয়ে মঞ্চে আসে ৮২’র মুনতাহা ইশরাত শৈলী। এরপর স্বরচিত উর্দু সায়েরি নিয়ে মঞ্চে আসে ৭৯ আবর্তনের তাসনিম জামান রাফা। রাফার সায়েরির রেশ যখন ৮২’র নতুনদের সফলতায় ‘ ধৈর্য আর অপেক্ষার’ উপজীব্যতা জানাচ্ছে তখন Ed Sheeran এর গান নিয়ে মঞ্চে আসে লিখন যার সাথে গিটারে ছিল পল। লিখনের গায়কি দর্শকে করে মুগ্ধ আর মুগ্ধতার মোহজালকে আরও লম্বা করে ৮০ আবর্তনের স্বপ্নীল যে নতুনদের উদ্দেশ্যে গেয়ে শোনায় ‘জলের গান’ সহ কয়েকটি লোকগীতি। এই গানের মধ্য দিয়েই অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।