সারাদেশে সংবাদদাতা নিয়োগ চলছে

অভিযোগ

আদিতমারীতে ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর দাবিতে স্বামীর বাড়িতে।

আদিতমারীতে ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর দাবিতে স্বামীর বাড়িতে। জনসংযোগ

মোঃ রয়িসুল সরকার রোমন
স্টাফ রিপোর্টার:

লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার পলাশী ইউনিয়নের নামুড়ীর মদনপুরে স্ত্রীর দাবিতে স্বামীর বাড়িতে অনশন করেছে ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী। গত বুধবার পলাশীর মদনপুরের সাইফুল ইসলামের ছেলে মোঃ রফিকুল ইসলাম কে স্বামী দাবি করে তার বাড়িতে যান স্ত্রী জান্নাতি খাতুন ও তার পরিবারের লোকজন। জান্নাতী খাতুন ও রফিকুলের বাড়ি একই এলাকার মদনপুরে। জান্নাতীর বাবার নাম আব্দুল কুদ্দুস।

স্ত্রী দাবি করা জান্নাতী খাতুন বলেন, রফিকুল এর সাথে আমার ৩ বছর আগে বিয়ে হয় এবং তার সন্তান আমার পেটে আমি ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। সে আমাকে আজকে তার বাড়িতে ডাকে। স্ত্রীর দাবিতে তার বাড়ি আমি আসি। আমি অন্তঃসত্ত্বা থাকায় অসুস্থ অবস্হায় তার ঘরে ভিতরে ঠুকি বসার জন্য কিন্তু তারা রুমের ফ্যান লাইট বন্ধ করে দিয়ে আমাকে ধাক্কা দিয়ে ও মেরে বের কর দেয় এবং দরজায় আমাকে ফালাই দেয় আমি আমার পেটে ৫ মাসের বাচ্চা থাকায় আমি খুবই ব্যাথা পাই এবং আমার খুবই ব্লেডিং হচ্ছে। ওখান থেকে আমি আদিতমারী হাসপাতালে আসি কিন্তু এখান কার ডাক্তার আমাকে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ট্রান্সফার করে। আমি আমার স্ত্রী ও পেটে সন্তানের অধিকার চাই।

জান্নাতীর আত্মীয়-স্বজনরা বলেন, জান্নাতী ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। রফিকুল ও জান্নাতির ৩ বছর আগে বিয়ে হয়েছে। রফিকুল বলেছিলো চাকরি পেলে সে তার স্ত্রী জান্নাতিকে তার বাড়িতে নিয়ে আসবে কিন্তু সে ৩ বছর পড়েও বিভিন্ন অজুহাত দিয়ে নিয়ে আসে নাই কিন্তু আজকে (বুধবার) রফিকুল জান্নাতিকে তার বাড়িতে ডাকলে সে আসে কিন্তু রফিকুল বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় এবং রফিকুলের বাবা মাও আত্মীয়-স্বজন জান্নাতিকে মারতে মারতে ঘর থেকে বের করে দেয়। ৫ মাসের পেটে বাচ্চা জান্নাতির পেটে মার খেয়ে তার প্রচুর ব্লেডিং হচ্ছে। জান্নাতির স্ত্রীর অধিকার ও তার পেটের বাচ্চার অধিকার তাকে ফিরিয়ে দেওয়া হোক।

রফিকুলের বাবা সাইফুল ইসলাম বলেন, আমার ছেলে ঢাকা ৩ বছর আগে বিয়ে করছে এই ব্যাপারে আমি কিছু জানি না। আজকে তারা হঠাৎ করে এসে আমার বাড়িতে ঠুকছে এখন আমি কি বলবো। আমি যেদিন ডিভোর্স এর কাগজ টা পেয়েছি সেদিন আমার ছেলেকে আমি পিঠাইয়া বের করে দিছি। আমি আমার ছেলে বা বউকে বাড়িতে রাখবো না এটা আমার ছেলে বুঝবে। ওই ছেলে বউকে নিয়ে কোথায় যায় যাবে আমার কোনও আপত্তি নাই।

আদিতমারী হাসপাতালে কর্তব্যরত ডাক্তার নুরনবী বলেন, আমাদের কাছে যে রোগী আরছে তিনি ফিজিক্যাল অ্যাসোডের রোগী। তিনি ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্ব ফিজিক্যাল অ্যাসোডের কারনে ওনার পানি ভেঙ্গে গেছে। পানি ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে বাচ্চাটা রিক্সের মধ্যে আছে। ওখানে আমরা দেখার পর লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে রেফার করলাম।


Discover more from জনসংযোগ

Subscribe to get the latest posts sent to your email.

আপনার পন্য বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন

এ সম্পর্কিত আরও খবর

Back to top button