দেশ সংযোগ

লালমনিরহাটে ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক ও চারিত্রিক সনদ বিক্রয়, চেয়ারম্যানের প্রতারণার অভিনব কৌশল 

লালমনিরহাটে ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক ও চারিত্রিক সনদ বিক্রয়, চেয়ারম্যানের প্রতারণার অভিনব কৌশল  জনসংযোগ

মোঃ রয়িসুল সরকার রোমন, স্টাফ রিপোর্টার:

লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার ৭ নং পলাশী ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক ও চারিত্রিক সনদ বিক্রয় ও টাকা নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরেজমিন তদন্তে বেড়িয়ে এসেছে চেয়ারম্যানসহ নিযুক্ত সচিবদের বিরূদ্ধে অতিরিক্ত টাকা নেয়ার অভিযোগ।

৭ নং পলাশী ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সনদ ৪০ টাকা ও চারিত্রিক সনদ ৪০ টাকা করে নেয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আলাউল ইসলাম ফাতেমী আদেশে সেক্রেটারি সহকারী / উদ্যোক্তা মোঃ মাসুদ। যেখানে পার্শ্ববর্তী ইউনিয়ন গুলো ডিজিটাল চারিত্রিক সনদ ১০ টাকা ও ডিজিটাল নাগরিক সনদ ১০ টাকা করে নেয়।

তৎকালীন ইউএনও জিআর সরোয়ারকে অভিযোগ দেন এলাকাবাসী কিন্তু কিছুদিন পর ইউএনও জিআর সরোয়ার বদলি হলে তিনি আর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেননি। তার পরও এর সমাধান না পেয়ে গণমাধ্যম কর্মীকে বিষয়টি অবগত করেন এলাকাবাসী।

সরাসরি DRB News এর লালমনিরহাট প্রতিনিধি মোঃ রয়িসুল সরকার রোমন নিজে ওই এলাকার নাগরিক সেজে পলাশী ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক ও চারিত্রিক সনদ নিতে যান তার কাছেও ৪০ টাকা করে চান উদ্যোক্তা মাসুদ। ওই সময় সাংবাদিক মোঃ রয়িসুল সরকার রোমন গোপন ক্যামেরার মাধ্যমে সব ভিডিও করে রাখেন।

পলাশী ইউনিয়নের বাসিন্দারা বলেন, আমাদের ইউনিয়নের বেকার ছেলে ও মেয়েরা চাকরির পরিক্ষার সময় নাগরিক সনদ ৪০ টাকা ও চারিত্রিক সনদ ৪০ টাকা দিয়ে কিনতে তাদের নানান রকম ভাবে এতো টাকা ম্যানেজ করতে হয়। অনেকে টাকার অভাবে কিনতে পারে না। আগে ছিলো ৫ টাকা করে আর এখন ডিজিটাল এর জন্য ৫/৬ মাস থেকে একবারে ৪০ টাকা করে করছে। কিন্তু আদিতমারী উপজেলার বাকি ইউনিয়ন গুলোতে ডিজিটাল নাগরিক ও চারিত্রিক সনদ ১০ টাকা করে। আমরা বাকি ইউনিয়ন গুলোর মতো ১০ টাকা করে দিতে চাই এবং এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আলাউল ইসলাম ফাতেমী বলেন, অরেঞ্জ বিডি অ্যাপসের মাধ্যমে আমরা ডিজিটাল নাগরিক ও চারিত্রিক সনদ বের করি ওখানে

অ্যাপস কেটে নেয় ২০ টাকা আর বাকি ২০ টাকা উদ্যোক্তা নেয়। অরেঞ্জ বিডিতে যে ২০ টাকা কেটে নেয় ওখান থেকে ১০ টাকা আমাদের একাউন্টে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তারা আমাদের ঘুরাচ্ছে এখনো দেয় নাই। আমি এখন থেকে সাধারণ মানুষকে হাতে লেখা নাগরিক ও চারিত্রিক ৫/১০ টাকায় দিবো এবং ডিজিটাল টা ২০ টাকা করে নিবো। আমি স্বীকার করছি ৪০ টাকা করে নেওয়া আমার মোটেও ঠিক হয় নাই।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-ই-আলম সিদ্দিকী বলেন, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আপনার পণ্য বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিন এখানে

এ সম্পর্কিত আরও খবর

আপনার পণ্য বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিন এখানে
Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker