মোঃ সামিউল আলম সায়মন নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ
নীলফামারীতে স্কুলের একমাত্র যাতায়াতের পথ বন্ধ করে দিয়ে তৈরি করা হয়েছে ইটের দেয়াল।
ঘটনা টি ঘটেছে নীলফামারীর সদর উপজেলা রামগঞ্জ বাজার সংলগ্ন রামগঞ্জ টেকনিক্যাল (ভোকেশনাল) স্কুলে।
গত ১৬/৪/২০২৪ ইং তারিখে উক্ত স্কুলের যাতায়াতের একমাত্র পথ টি বন্ধ করে ইটের দেয়াল তৈরি করেন উক্ত এলাকার এক প্রভাবশালী অধির চন্দ্র বিশ্বাস এবং সন্ত্রাসী বাহিনী ।
এবিষয়ে উক্ত স্কুলের সহকারী শিক্ষক মশিউর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন আমাদের এই টেকনিক্যাল স্কুল টির যাতায়াতের পথ আগে খুব স্বল্প পরিসরে ছিলো যার কারণে এই পথ টি দিয়ে স্কুলের ছাত্র ছাত্রীদের চলাচলের খুব সমস্যা হতো পরে স্কুলের ছাত্র ছাত্রীদের নিরবিগ্নে স্কুলের আসার জন্য দেলোয়ার হোসেন নামে একব্যক্তি স্কুলের ছাত্র ছাত্রীদের যাতায়াতের সুবিধার্তে ২০২৩ সালে রাস্তার জন্য কিছু জমি দান করেন যার দাগ নং ১০০৮২।
কিন্তু হঠাৎ করে গত ১৬/০৪/২০২৪ ইং তারিখ সকালে স্হানীয় কয়েকজন এর ফোনের মাধ্যমে জানতে পারি যে উক্ত এলাকার প্রভাবশালী অধির চন্দ্র বিশ্বাস সহ তার ভাড়াটে ১০/১২ জন গুন্ডা মিলে ইট দিয়ে স্কুলের যাতায়াতের একমাত্র পথ টিতে দেয়াল তৈরি করছে।
এমন খবর পাওয়া মাত্র আমি এবং আমাদের স্কুলের আরো কয়েকজন শিক্ষক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই।
আমাদের কে ঘটনাস্থলে উপস্থিত দেখে অধির চন্দ্র বিশ্বাস ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী আমাদের কে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে এবং নগদ ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে , এবং ঘটনাস্থলে ধীরে ধীরে লোকজন আসা শুরু করলে অর্থাৎ জনতার ভিড় জমতে থাকলে অধির চন্দ্র বিশ্বাস এবং তার সন্ত্রাসী বাহিনী তখন দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে চলে যায়।
এঘটনার বিষয়ে স্হানীয় কয়েকজন জানান এই পথ টি দিয়ে শুধু স্কুলের ছাত্র ছাত্রীরা যাতায়াত করে তা না এই পথ দিয়ে আমরা ও যাতায়াত করি এবং আরো অনেক মানুষ এই পথ দিয়ে যাতায়াত করে থাকে , তিনি ( অধির চন্দ্র বিশ্বাস) কিভাবে এই পথ টি বন্ধ করে দিলো , আমাদের কথা দুরে থাক এই স্কুলের ছাত্র ছাত্রী দের কথা যাতায়াতের কথা তো তাকে ভাবতে হতো।
আমরা এই বিষয় টি নিয়ে মর্মাহত, আমরা এই বিষয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে একটি কথাই বলতে চাই এই স্কুল টির ছাত্র ছাত্রীদের কথা চিন্তা করে যেন অতিদ্রুত দেয়াল টি ভেঙ্গে ছাত্র ছাত্রীদের যাতায়াতের জন্য সুন্দর একটি রাস্তা তৈরি করা হোক এবং অধির চন্দ্র বিশ্বাস কে অতিদ্রুত আইনের আওয়াতায় আনা হোক।
এদিকে অভিযুক্ত ব্যক্তি অধির চন্দ্র বিশ্বাস এর সাথে একাধিক বার তার সাথে বিভিন্ন মাধ্যমে কথা বলার চেষ্টা করে ও তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয় নি ।
এবিষয়ে টুপামারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মছিরত আলী শাহ ফকির এর সাথে তার মুঠোফোন যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিচিভ করেনি।
এদিকে নীলফামারী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও) মোহাম্মদ মেহেদী হাসানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন আমাকে এই বিষয়ে স্কুল কর্তিপক্ষ একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে আশা করি খুব দ্রুত সময়ে মধ্যে বিষয় টি সমাধান করা হবে এবং ঘটনা টি আসলে খুব দুংখ জনক ঘটনা ।