অভিযোগ

আদিতমারীতে প্রতারণা চক্রের এক সদস্য গ্রেফতার।

আদিতমারীতে প্রতারণা চক্রের এক সদস্য গ্রেফতার। জনসংযোগ

মোঃ রয়িসুল সরকার রোমন
স্টাফ রিপোর্টার:
মানুষকে সরকারি ঋণ সুবিধা পাইয়ে দেওয়া এবং চাকুরির প্রলোভন দেখিয়ে ফাঁদে ফেলে প্রতারণার সিন্ডিকেট গড়ে তোলার অভিযোগ করেছেন এমদাদুল হক এর বিরুদ্ধে। তার সিন্ডিকেটে সদস্য রয়েছে ১০-১২ জন এমন অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী প্রতাপ চন্দ্র রায়। এমদাদুলের বাড়ি লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের ব্রমত্তর দক্ষিণ বালাপাড়া গ্রামে। সোমবার রাতে ব্রমত্তর দক্ষিণ বালাপাড়া এলাকা থেকে এমদাদ সিন্ডিকেটের সদস্য এমদাদুল এর ছেলে আবুল কালাম আজাদ ওরফে রতন মিয়াকে গ্রেফতার করেছে। এ ঘটনায় এমদাদুলসহ তিনজনকে আসামি করে আদিতমারী থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন আদিতমারী থানার অফিসার-ইনচার্জ (ওসি) মাহমুদ উন নবী।

পুলিশ জানায়, সম্প্রতি আদিতমারী উপজেলার ভেলাবাড়ী ইউনিয়নের ফলিমারী গ্রামের প্রতাপ চন্দ্র রায় এমদাদ সিন্ডিকেটের ফাঁদে পড়েন। প্রতাপকে গাভী পালনের জন্য ১৪ লাখ টাকা ও মৎস্যচাষের জন্য ২০ লাখ টাকা সরকারি ঋণ পাইয়ে দেওয়ার ঘুষের জন্য ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং স্বাক্ষরিত ১২টি চেকের পাতা ও ১২টি নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প নেন এমদাদুল হক। প্রতাপের মেয়েকে সরকারি চাকুরি পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে ১৫ লাখ টাকা গ্রহন করেন। এসব টাকা ৫টি মোবাইলের মাধ্যমে বিকাশ ও নগদে গ্রহন করেন।

প্রতাপ চন্দ্র রায় বলেন,’ আমাকে এমনভাবে ফাঁদে ফেলানো হয়েছিল তাতে আমি এমদাদুল ছাড়া কাউকে বুঝতে চাইতাম না। তার সিন্ডিকেটের সদস্যরা নিজেকে ব্যাংকের অফিসার, মৎস্য অধিদপ্তরের অফিসার ও বিসিকের অফিসার হিসেবে পরিচয় দিয়ে কথা বলতেন। আমি বিশ্বাসও করেছিলাম।’ “এমদাদুল একজন পেশাদার প্রতারক। তিনি অনেক মানুষকে ফাঁদে ফেলে সর্বস্বান্ত করেছেন,’ তিনি বলেন। “এমদাদ সিন্ডিকেটের সদস্যরা বিভিন্ন সরকারি অফিসে ঘুরে বেড়ান এবং ঋণ প্রত্যাশি মানুষকে ফাঁদে আটকান,’ তিনি বলেন।

ব্রমত্তর দক্ষিণ বালাপাড়া এলাকার লোকজন বলেন, ১০-১২ বছর আগে এমদাদুল একজন দিনমজুর ছিলেন। এখন তিনি ৬-৭ বিঘা জমি ও একটি পাকা বাড়ির মালিক। গ্রামে তিনি ‘ফাংফুং এমদা’ নামে পরিচিত। প্রতারনার জন্য গ্রামে বহুবার বিচারও হয়েছে এমদাদুলের বিরুদ্ধে। বিভিন্ন স্থানে তাকে আটকিয়ে রেখেছিলেন বিক্ষুদ্ধ লোকজন। সরকারি ঋণ পাইয়ে দেওয়া ও সরকারি দেওয়ার নামে নেওয়া স্বাক্ষরিত ফাঁকা চেক ও নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পের ভয় দেখিয়ে তিনি অনেক নিরীহ মানুষকে প্রতারিত করেছেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আদিতমারী থানার সাব ইন্সপেক্টর (এসআই) আমিনুল ইসলাম বলেন, এমদাদ সিন্ডিকেটের প্রধান এমদাদুল ও অন্য সদস্যরা পলাতক রয়েছে। তাদেরকে গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। যেসব মোবাইল নাম্বারে বিকাশ ও নগদে টাকা নিয়েছিল সেটির সত্যতা পাওয়া গেছে। “সরকারি ঋণ ও চাকুরি পাইয়ে দেওয়া নামে নেওয়া স্বাক্ষতি চেক ও নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প উদ্ধার করতে তৎপর আছি”।

আপনার পণ্য বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিন এখানে

এ সম্পর্কিত আরও খবর

আপনার পণ্য বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিন এখানে
Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker