দেশ সংযোগ

মুন্সীগঞ্জে টংঙ্গীবাড়ীতে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ভাই ভাতিজারা মিলে বৃদ্ধকে হত্যার অভিযোগ

মুন্সীগঞ্জে টংঙ্গীবাড়ীতে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ভাই ভাতিজারা মিলে বৃদ্ধকে হত্যার অভিযোগ জনসংযোগ

ওসমান গনি
স্টাফ রিপোর্টার
মুন্সীগঞ্জে টংঙ্গীবাড়ী উপজেলার তৌলকাই গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ভাই ভাতিজারা মিলে বৃদ্ধাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছে।এই ঘটনায় নিহতের ছেলে আরিফ বাদী হয়ে টংঙ্গীবাড়ী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে নিহতের স্বজনরা জানিয়েছেন।

জানাগেছে,তৌলকাই গ্রামের মোবারক হালদার তার জমি বিক্রি করতে চাইলে সে জমি তার অপর ভাই নিহত কাদির হালদার(৬৫), ফারুক হালদার,জালাল হালদার গংরা কিনতে চায়।কিন্তু জালাল হালদার এর বড় ছেলে রুবেল হালদার অন্য চাচাদের জমি না দিয়ে সে গোপনে একমাস আগে ওই জমি মোবারক হালদারের কাজ হতে নিজ নামে রেজিস্ট্রি করে নেয়।

এ নিয়ে রুবেল হালদারকে নিহত কাদির হালদারসহ তার অন্য চাচারা জিজ্ঞাসাবাদ করলে রুবেল হালদার বলে পরে ওই জমি তার অন্যান্য চাচাদের নামেও টাকা নিয়ে রুবেল লিখে দিবে বলে জানায়।

পরে বুধবার(২৪ এপ্রিল)রাত ১১ টার দিকে নিহত কাদির হালদার তার দুই ছেলে আরিফ হালদার,ফয়সাল হালদার,তার ভাই ফারুক হালদার মিলে তার অপর ভাই জালাল হালদার এর বাড়িতে গিয়ে জালাল হালদার এর ছেলে রুবেল হালদার কবে তার ভাই মোবারক হালদার এর কাছ হতে কেনা জমি তাদের ফিরিয়ে দিবে জানতে চাইলে এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে রুবেল হালদার,মোবারক হালদার,লাবু হালদার,শহীদ শেখ,বাক্কার শেখসহ ১০ হতে ১২ জন মিলে নিহত কাদির হালদার ও তার দুই ছেলে আরিফ হালদার ফয়সাল হালদারকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে।পরে কাদির হালদারকে উদ্ধার করে টংঙ্গীবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

এ ব্যাপারে নিহত কাদির হালদার এর পুত্রবধূ আরিফ হালদার এর ছেলের বৌ ফারজানা বেগম বলেন, জমি নিয়ে রুবেল হালদার এর সাথে আমার নিহত শ্বশুর এর বিরোধ ছিল।রুবেল হালদার আমার চাচা শশুর মোবারক হালদারের জমি গোপনে একা কিনে নেয়।পরে সে সেটা আমার শ্বশুরসহ তার অপর দুই ভাইকে ফিরিয়ে দেওয়ার কথা ছিল।ওই সম্পত্তি কবে ফিরিয়ে দিবে এ নিয়ে জানতে বুধবার(২৪ এপ্রিল) রাতে১১ টার দিকে জালাল হালদার এর বাড়ি যায় আমার শ্বশুর নিহত কাদির হালদার আমার হাজব্যান্ড আরিফ হালদার আমার দেবর ফয়সাল হালদার সহ আরো কয়েকজন।এ সময় আমার শশুর কবে মোশারফ হালদার এর কাজ হতে নেওয়া সম্পত্তি ফিরিয়ে দিবে জানতে চাইলে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে রুবেল হালদার,মোবারক হালদার,লাবু হলদার,শহীদ শেখ, বাক্কার শেখ সহ ১০ হতে ১২ জন আমার শ্বশুর নিহত কাদির হালদার আমার হাজব্যান্ড আরিফ আমার দেবর ফয়সালকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে।আমার শ্বশুরকে তারা রড ও কাঠ দিয়ে পিটালে আমার শ্বশুর পরে গিয়ে পানি পানি বলে চিৎকার করলেও তারা এক ফোটা পানি দেয়নি।আমার স্বামী আরিফ হালদারকে পিটিয়ে ওরা হাতের আঙ্গুল ভেঙে ফেলছে আমার দেবর ফয়সাল কেও পিটিয়ে গুরুত্ব যখম করেছে।আমার স্বামী আরিফ হালদার বাদী হয়ে টংঙ্গীবাড়ী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে আমি এই আসামীদের গ্রেপ্তার ও দ্রুত ফাঁসি চাই।

এ ব্যাপারে টংঙ্গীবাড়ী থানা এসআই আল মামুন বলেন,নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।জমি নিয়ে বিরোধীয় বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে মারা যায় বৃদ্ধ।ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারন জানাযাবে।

এ ব্যাপারে টংঙ্গীবাড়ী থানা ওসি মোল্লা সোয়েব আলী বলেন,খুনের বিষয়ে আমরা মৌখিকভাবে শুনেছি।নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।তবে নিহতের কোন আত্মীয়স্বজন আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ করেনি।লিখিত অভিযোগ করলে বিস্তারিত জানা যাবে।

আপনার পণ্য বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিন এখানে

এ সম্পর্কিত আরও খবর

আপনার পণ্য বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিন এখানে
Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker