অগ্নি সংযোগ

ছেলের মৃত্যু তে দিশেহারা মা 

ছেলের মৃত্যু তে দিশেহারা মা  জনসংযোগ

মোঃ গোলাম মাওলা, ঝালকাঠি 

রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কজি কটেজ ভবনে অগ্নিকাণ্ডে মারা যাওয়া তুষার হাওলাদারের (২৩) মরদেহ গ্রামের বাড়িতে পৌঁছেছে। শুক্রবার (১ মার্চ) বিকেলে ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার শৌলজালিয়া ইউনিয়নের তালগাছিয়া গ্রামে তার মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স পৌঁছায়।

এ সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন তার মা-বোনসহ স্বজনরা। তাদের আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠেছে এলাকার পরিবেশ। একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে কান্না থামছে না মা অঞ্জনা রানী হাওলাদারের।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজধানীর বেইলি রোডে ‘কাচ্চি ভাই’ রেস্টুরেন্টে বন্ধুদের সঙ্গে খেতে গিয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত হন তুষার হাওলাদার।

নিহত তুষার হাওলাদার কাঁঠালিয়া উপজেলার শৌলজালিয়া ইউনিয়নের তালগাছিয়া গ্রামের দীনেশ হাওলাদারের ছেলে। তিনি ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা, মিডিয়া ও যোগাযোগ বিভাগ থেকে সদ্য স্নাতক পাস করেছেন। তুষার আইটি প্রতিষ্ঠান স্টার টেকে জুনিয়র এক্সিকিউটিভ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এর আগে তিনি নিউজ পোর্টাল দ্য রিপোর্ট ডট লাইভে ভিডিও এডিটর হিসেবে কাজ করেছেন। তুষারের ছোট এক বোন রয়েছে।

শৌলজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদ হোসেন রিপন বলেন, আমি তাদের বাড়িতে গিয়েছিলাম। দীনেশ হাওলাদারের একমাত্র ছেলে তুষার। বিষয়টি খুবই মর্মান্তিক।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গতকাল রাতে রাজধানীর বাংলামোটরে অবস্থিত কর্মস্থল থেকে বের হয়ে বেইলি রোডে সাত তলা ওই ভবনে অবস্থিত ‘কাচ্চি ভাই’রেস্টুরেন্টে বন্ধুদের সঙ্গে খাবার খেতে গিয়েছিলেন তুষার হাওলাদার। আগুন লাগার আগ মুহূর্তে তারা ওই রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করেন। আগুন লাগলে তারা আর ওই ভবন থেকে বের হতে পারেননি। সেখানেই প্রাণ হারান তুষার।

নিহত তুষারের বাবা দীনেশ হাওলাদার বলেন, প্রতিদিন রাতে আমরা দুজনে কাজ শেষ করে একসঙ্গে বাসায় যাই। আমি বার্ডেম হাসপাতালে কাজ করি আর তুষার স্টার টেক নামে একটা প্রতিষ্ঠানে কাজ করে। গতকাল রাত ৮টার দিকে আমি তুষারকে কল দিয়ে বাসায় যাওয়ার কথা বললে তখন আমাকে জানায়- রাতে অফিসে খাবারের আয়োজন থাকবে এবং আগামীকাল ১ মার্চ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান আছে তাই যেতে দেরি হবে। পরে আমি বাসায় গিয়ে আবার ওরে ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত কল দিলে নম্বর বন্ধ পাই। মনে করছি অফিসে আছে কাজ করতাছে। এরপর সকালে আমি ডিউটিতে হাসপাতালে যাই। ওর নম্বরে সকাল সাড়ে ৬টার দিকে কল দিছিলাম তখন কল ঢুকছে, কিন্তু রিসিভ করে নাই। তখন আমি মনে করছি অনেক রাতে ঘুমাইছে তাই হয়তো ঘুমে আছে।

তিনি আরও বলেন, সকাল পৌনে ৭টার দিকে আমার নম্বরে একজনে কল দিছে। তিনি সম্ভবত একজন এসআই হবেন। আমাকে বলেন আপনি কি তুষারের বাবা? আপনি ঢাকা মেডিকেলের মর্গে চলে আসেন। আপনার ছেলের লাশ এখানে এসে নিয়ে যান। এরপর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে গিয়ে লাশ গ্রহণ করি

আপনার পণ্য বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিন এখানে

এ সম্পর্কিত আরও খবর

আপনার পণ্য বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিন এখানে
Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker