নীলফামারীতে সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনাকে ভিন্নক্ষাতে প্রবাহিত করতে থানায় মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা দায়ের
মোঃ সামিউল আলম সায়মন নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ
নীলফামারী সদর উপজেলার কচুকাটা ইউনিয়ন পরিষদে প্রধানন্ত্রীর ঈদ উপহার হিসেবে ভিজিএফ এর চাল বিতরনে অনিয়মের ছবি তুলতে গেলে দৈনিক সমাজ সংবাদ পত্রিকার সাংবাদিক নুরল আমিন ও আন্দোলনকারী নেতাসহ পাঁচজন সাংবাদিককে নির্যাতনের ঘটনাকে ভিন্নক্ষাতে প্রবাহিত করতে সদর থানায় মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করেন কচুকাটা ইউনিয়নের প্যালেন চেয়ারম্যান মো: মোশফিকুর রহামান।
গত শনিবার (৬ এপ্রিল/২০২৪) সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে জেলার সাংবাদিক সংগঠনের সদস্যরা মানববন্ধন ও জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর স্বারকলিপি প্রদান করেন।
এছাড়াও ঘটনার পরদিন সিসি টিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে তদন্ত সাপেক্ষে সুস্থ বিচার ও দোষীদের আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবীতে সদর থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়। থানা পুলিশ বিষয়টি আমলে না নেওয়ায় গত ২৩ এপ্রিল বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নং : পিটিশন ১৬৯/২০২৪ (সদর)।
এরই প্রেক্ষিতে গত (২৪ এপ্রিল/২৪) তারিখে রাত আনুমানিক সাড়ে দশটায় সদর থানায় উপস্থিত হয়ে মামলা দায়ের করেন মো: মোশফিকুর রহামান। তার এক ঘন্টার মধ্যে তদন্ত ছাড়াই দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা রুজু করেন অফিসার ইনচার্জ মো: তানভিরুল ইসলাম।
তদন্ত ছাড়াই এজাহার রুজুর বিষয়ে জানতে চাইলে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো: তানভিরুল ইসলাম বলেন, প্যানেল চেয়ারম্যান বাদী হয়ে এজাহার দায়ের করলে তা রুজু করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আল ফারুক পারভেজ উজ্জ্বল বলেন, সাংবাদিক নুরল আমিন, সোহেল রানাসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা সম্পুর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। কোন প্রকার তদন্ত ছাড়া এই মামলা একতরফা ভাবে রুজু করা হয়েছে।
জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক আল-আমিন বলেন, সাংবাদিকদের নামে মিথ্যা মামলা দেওয়ায় তীব্র নিন্দা ও অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানান।